সোনালী ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চিহ্নিত করা গেল না টাকা চোরকে।
ব্যাংকে মসলেম এন্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী মসলেম উদ্দিনের নিমেষেই খোয়া গেল ২ লক্ষ টাকা। রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদী শাখা সোনালী ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারীর ছেলে ইমরান হোসেন জানান, তাঁদের কর্মচারী মাসুম হোসেন পচু ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে ব্যাংকে ডিডি করতে যায়। সে টাকা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার জিল্লুর রহমানের কাছে জমা দেন। কিছুক্ষণ পর ক্যাশিয়ার বলে, ৩ লাখ ৫৪ টাকা ৪০০ টাকা রয়েছে। তবে ব্যাংকের টাকার পরিমাণ ও নোট সংখ্যা হিসাব করে লিখে দেয়া হ্যেছিল। এর মধ্যে থেকে কিভাবে ২ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেও কোন গতিও হয়নি। ক্যাশ কাউন্টারের কাছে যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেটিও নষ্ট বলে জানা যায়।
কর্মচারী মাসুম হোসেন পচু জানান, ক্যাশিয়ারের পেছনে সাদা শার্ট পরা এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিল এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। পচু বলেন এটি ক্যাশিয়ারের কারসাজি।
ক্যাশিয়ার জিল্লুর রহমান বলছে, আমি টাকা গুনে ২ লাখ টাকা কম পেয়েছি। তাঁর পেছনে কোন লোক দাঁড়িয়ে ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।
এই ঘটনায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদির বলেন, ব্যাংকের ১৪টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ১২টি নষ্ট। যে ক্যাশ কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে সেখানকার সিসি ক্যামেরাও নষ্ট। তাই কি ঘটেছিল কাউন্টারে তা দেখা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঘটনাটি শোনার পরপরই আমি ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে তাৎক্ষনিক ওই কাউন্টারের লেনদেন বন্ধ করে দিয়ে হিসাব নিকাশ করেছি। ওই ক্যাশে বাড়তি কোন টাকা নেই। যা লেনদেন হয়েছে তার হিসাবই রয়েছে।
ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ক্যামেরা স্থানীয়ভাবে মেরামত বা নতুন করে স্থাপন করার কোন সুযোগ নেই। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেছি।