

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: ঈশ্বরদী নিউজ টুয়েন্টিফোর
ঈশ্বরদীতে শুক্রবার এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যা এক দিনের ব্যবধানে সাড়ে ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম। শীতের তীব্রতা বাড়ায় তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, দুই দিন বৃষ্টির পর গতকাল থেকে আকাশে মেঘ কেটে গেছে। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গতকাল ঈশ্বরদী উপজেলায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। উত্তরের হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চরাঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষ কষ্টে পড়েছেন। বেড়ে চলছে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগ। তীব্র শীতে বাজারে পুরোনো কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড় বেড়েছে। দরিদ্র মানুষ শহরের ফুটপাতে পুরোনো দোকান থেকে শীতের কাপড় কিনছেন।
শহরের দড়িনারিচা এলাকার দিনমজুর রাজু আলী বলেন, ‘তীব্র শীতের মধ্যি আজ ঘর থেকি বের হইনি। শীতে হাত-পা ভেঙি যাইছে।’
শীতের তীব্রতায় কষ্টে থাকা উপজেলার নদীতীরবর্তী সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া গ্রামের বৃদ্ধা জমিরুন বেগম বলেন, ‘ওরে বাবা-শীতে শরীল তো ভাইঙা-চুইড়া যায়! লেপের মধ্যে শুয়ে থাকলিও শরীল থেইক্যা শীত যাইতাছে না।’
মাঘের শীতে কষ্ট পাওয়া শহরের কাচারীপাড়া রেলবস্তির দিনমজুর নুরু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতের জন্যি আইজ রিসকা (রিকশা) চালাইতেও যাতি পারিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডা জ্বরের প্রচুর রোগী আসছেন। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। অনেকে ভর্তি আছেন। আবার কেউ বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।