

লক ডাউন। ছবি: ঈশ্বরদীনিউজটুয়েন্টিফোর.নেট গ্রাফিক্স টিম
রাজশাহীতে মঙ্গলবার এক নার্স করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জেলার পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গতকাল ওই নার্সসহ রাজশাহীর আরও চারজন করোনা শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে রাজশাহী জেলার ছয় উপজেলায় আক্রান্ত হলেন ১৩ জন। নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদর মধ্যে জেলার মোহনপুরেপুরে দুজন, তানোরে একজন ও পবায় একজন। তাঁদের মধ্যে পবায় আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নার্স।
পবা উপজেলার ওই নার্স আক্রান্ত হওয়ার খবর আসার পরই গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল রাজশাহী জেলার পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে বসবাসকারী একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে পবা উপজেলায় করোনাভাইরাসে আরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সুপারিশক্রমে ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সব সংস্থার মতামতে ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে লকডাউন করা হয়েছে। ওই এলাকায় সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন এনামুল হক জানান, রাজশাহী ল্যাবে প্রতিদিন সর্বাধিক ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এর বাইরে অতিরিক্ত নমুনা ঢাকার ল্যাবে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়। সেখানে গতকাল একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে দাপ্তরিকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিবেদন তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি। পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেহেতু একজন সিনিয়র নার্স আক্রান্ত হয়েছেন, এখনো তাঁর কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং পাওয়া যায়নি। তাই ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করা হয়েছে।
রাজশাহীতে ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ২৮ এপ্রিল চারজন আক্রান্ত রোগীসহ জেলায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। তাঁদের মধ্যে পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, মোহনপুরে চারজন ও বাগমারায়, বাঘায়, তানোরে, পবা উপজেলায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রোববার সকালে ৮০ বছর বয়সী বাঘার আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান।