

এনু-রূপনের বাসায় অভিযান চালিয়ে টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে র্যাব। ছবি : সংগৃহীত
এনু-রুপনের লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা উ’দ্ধা’রের ঘটনায় মামলা করেছে র্যাব।
বুধবার ওয়ারী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুই ভাই এনু-রুপনকে আ’সা’মি করে মা’ম’লাটি করা হয়। এরপর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জ’ব্দ’কৃত টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, এফডিআর ও বৈদেশিক মুদ্রা ওয়ারী থানা পুলিশকে বুঝিয়ে দেন।
মঙ্গলবার দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন ১১৯/১ লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ‘মমতাজ ভিলা’ থেকে র্যাব নগদ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬শ’ টাকা, ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর, প্রায় এক কেজি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ৯ হাজার ৩০০ ইউএস ডলার, ১৭৪ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ৫ হাজার ৩৫০ ইন্ডিয়ান রুপি, ১ হাজার ১৯৫ চাইনিজ ইয়েন, ১১ হাজার ৫৬০ থাই বাথ ও ১শ’ দিরহাম ইউএই জ’ব্দ করে।
এছাড়া কিছু ক্যা’সি’নো সর’ঞ্জা’মও উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে। এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর এ দুই ভাইয়ের ওয়ারীর একটি বাসা থেকে পাঁচ কোটি টাকা ও আট কেজি স্বর্ণ জ’ব্দ করে র্যাব।
অ’ভি’যানকারী র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, এনু-রুপনের প্রত্যেকটি বাসাতেই মমতাজ ভিলা লেখা রয়েছে। ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের আশপাশে অন্তত এক ডজন বাড়িতে ‘মমতাজ ভিলা’ লেখা রয়েছে।
এরা আসলে মা ভক্ত ছিলেন। এজন্য মায়ের নামে (মমতাজ বেগম) বাড়িগুলোর নামকরণ করেছেন। এ ধরনের তথ্য আমরা এলাকাবাসীর কাছ থেকেও জানতে পেরেছি।
এদিকে ক্যা’সি’নোকাণ্ডে এ দুই ভাই গ্রে’ফ’তার হলেও তাদের অপর ভাই ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রশিদুল হক ভূঁইয়া এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষো’ভ বিরাজ করছে।
তার বি’রু’দ্ধেও জু’য়া, চাঁ’দা’বা’জিসহ নানা অ’ভি’যোগ রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রশিদুল হক ভূঁইয়াও রয়েছেন নজরদারিতে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সুজয় সরকার জানিয়েছেন, টাকা উ’দ্ধা’রের ঘটনায় ওয়ারী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এনু-রুপনের বিরুদ্ধে একটি মা’ম’লা করা হয়েছে।
এছাড়া টাকা উ’দ্ধা’রের বিষয়টি উল্লেখ করে তা মানি ল’ন্ডা’রিং মা’ম’লায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিআইডি প্রধানকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
ক্যা’সি’নো’বি’রো’ধী অ’ভি’যান শুরুর পর আলোচনায় আসে পুরান ঢাকার জুয়াড়ি সিরাজের এ পরিবার। ২৪ সেপ্টেম্বর এনু-রুপনের বাসায় অ’ভি’যান চালায় র্যাব।
এরপর দুই সহযোগীসহ তাদের বি’রু’দ্ধে ওয়ারী, গেণ্ডারিয়া ও সূত্রাপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, মানি লন্ডারিং আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ৭টি মা’ম’লা হয়। এরপর ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ থেকে এনু-রুপনকে গ্রে’ফ’তার করে সিআইডি। তারা সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল বিত্তবৈভবের তথ্য দিয়েছেন।