১। তুমি চলে যাবে দূরে, বিষন্ন পায়ে হাঁটবে লন্ডন ব্রীজে বা জ্যাকসন হাইটসে
আর কোনদিন আমাদের দেখা হবে না পদ্মা সেতু কিংবা বসুন্ধরা মার্কেটে।
তুমি চলে যাবে, অবাক হয়ে দেখবে প্যারিস,
আমাদের আর বলা হবে না বাংলাকেই ভালবাসি।
২। তোমার দীঘল চুল খোঁপার সৌরভ পাবার পর
ফরাসী কোন পারফিউমকেও আর আর সৌরভময় লাগে না
তোমার বাদামী হাতের ছোঁয়া পাবার পর, বিপথগামী ছেলেটা বুঝতে পারে ভালবাসার উষ্ণতায়
সাদা-কালোর তফাত নেই
তোমার নরম কোলের মখমল ওম পাবার পর, বর্ণবাদী ছেলেটাও শান্তিময় হয়ে যায়;
পৃথিবী সমস্বরে বলতে থাকে শান্তি আর শান্তি আর শান্তি।
৩। ও’ বুনো চড়ুই তোমার আবার পাবার আনন্দ কি
সাদা জ্যোৎস্নায় উড়ে উড়ে ভিক্টোরিয়া পার্কে যাও, দিও মন ভরে ফাঁকি।
ও’বুনো বকুল তোমার আবার ফুটার আনন্দ কি
এমিরেটসে চড়ে হাওয়াই যাও, দিও সৌরভ একটুখানি।
৪। তুই থাকিস বা না-থাকিস মাদুলিতে ভরে তোকে
আগলে রাখব সবুজ অন্তরীক্ষে;
পালিয়ে পালিয়ে আর যাবি কোথায়
আঁজলা ভরে রাখব মন পাতায়।
৫। বিদায় বললে কি বিদায় হয়,
চলে যাই বললে কি চলে যাওয়া হয়, হয় না;
মানুষ মাত্রই প্রেমিক-প্রেমিকা, হৃদয় ভরা রঙ্গিন মন;
অতঃপর পৃথিবী থেকে লুপ্ত হউক হৃদয়হীনদের বসবাস।
৬। তুমি দূর দেশে চলে যাবার পর
আমি এই বাংলায় কাশফুল নিয়ে পড়ে থাকি,
মানুষ যে সব কাজকে অপ্রয়োজনীয়, অসামাজিক
আর মামুলি বলে চিৎকার করে,
আমার কাছে সেই সব কাজই হয়ে উঠে প্রয়োজনীয় আর সামাজিক।
প্রাত্যহিক সবক বলে লোকে যা জানে,
আমার কাছে তুমিই হও একমাত্র সবক প্রতিদিনকার প্রার্থনা শেষে।
ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা