

সোমবার রাতে মাজেদকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত এই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এমন তথ্য দেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দণ্ড কার্যকর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, কারাগারে অন্যান্য ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মতো আবদুল মাজেদও সলিটারি কনফাইনমেন্টে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে তার থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর কোনো ঝুকি থাকবে না।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, সোমবার রাতে মাজেদকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী জুনিয়র অফিসার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালে এই মামলার ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন – সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদ। ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মৃত্যু হয় মামলার আরেক আসামি আজিজ পাশা।
বর্তমানে এই মামলার পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন – শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, খন্দকার আবদুর রশীদ, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। তারা সবাই বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়।