

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানীর রাস্তা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্কে অন্য সবার মতো গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী ও অপরাধীদেরও। একারণে শহরের অপরাধমূলক কার্যক্রম কমে গিয়েছে চোখে পড়ার মত।
এই মুহূর্তে দেশের বেশিরভাগ অফিস, শপিংমল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশে বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ইউএনবি’কে জানান, খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতির মত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই কম হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশে অপরাধের পরিমাণ এত কমে গিয়েছে। ঢাকা শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দাই সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং ঘরে থাকার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার পর আর রাস্তায় তেমন বের হচ্ছেন না।”
আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনী যৌথভাবে পরিস্থিতি তদারকি করছে। কাজেই, অপরাধীরা কোনরকম অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, ডেপুটি কমিশনার (উত্তরা অপরাধ বিভাগ) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, “রাস্তায় এখন আর কোনও মানুষ নেই তাই আর কোনও অপরাধীও নেই। তাছাড়া, রাস্তায় জনসমাগম অথবা গাড়ির জটলা না থাকায় ফাঁকা রাস্তায় পুলিশ যেকোনও জায়গায় খুব অল্প সময়েই পৌঁছে যেতে পারছে। একারণে অপরাধ করার আগে অপরাধীরা দ্বিতীয়বার চিন্তা করছে।”
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “সাধারণত ৬০ থেকে ৭০টি মামলা প্রতিমাসে একটি থানায় রেকর্ড করা হয়। সেখানে মার্চ মাসে রেকর্ড হয়েছে ৫০টি। এরমধ্যে মাত্র ২টি মামলা গত ১০ দিনে রেকর্ড হয়েছে। গত ২৬ মার্চ থেকে পল্লবী থানায় একটিও ধর্ষণ, গণধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা রেকর্ড হয়নি।”