

মুক্তির পর হাসপাতাল থেকে বাসার পথে খালেদা জিয়া।
অবশেষে ২ বছর ১ মাস ১৭ দিন পর কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। করোনা আতঙ্কের মধ্যে দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে তাকে একনজর দেখতে ঢল নামে নেতাকর্মীদের।
খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে বুধবার দুপুরের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল আশপাশে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘ দুই বছর পর নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। নেতাকর্মীদের হাসপাতাল চত্বরে ভিড় না করতে বারবার হ্যান্ডমাইকে অনুরোধ জানাতে দেখা যায় বিএনপি মহাসচিবকে।
এর আগে মঙ্গলবারই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের আবেদনের ফাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সই করেন। সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে কারা অধিদপ্তরে পৌঁছায়।
পরে কারা অধিদপ্তরে মুক্তির প্রক্রিয়ার শেষ করে দুপুরের দিকে বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার মুক্তির চিঠি নিয়ে যান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী। সব প্রক্রিয়া শেষ করে তাকে বিকেল সোয়া চারটায় মুক্তি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাজা স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার।
দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।