

শবে বরাতের গুরুত্বপূর্ণ এ রজনীতে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী যে সকল আমল করা যায়, তা তুলে ধরা হলো-
১. দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া, যাতে সিজদাও দীর্ঘ হবে।
২. কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত করা।
৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পাঠ করা।
৪. গোনাহের কথা স্মরণ করে ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৫. কবিরা গোনাহ হতে তাওবা করে ফিরে আসা
৬. রহমত ও কল্যাণ কামনায় দোয়া করা।
৭. রাতের কিছু সময় ঘুমানো। রাত জেগে ইবাদাত করার ফলে যেন ফজরের নামাজ তরক না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা।
৮. শেষ রাতে সেহরি খাওয়া।
৯. পর দিন রোজা রাখা।
মনে রাখতে হবে-
ইসলামি বইয়ের মোড়কে অনেক অনির্ভরযোগ্য ওজিফা, বই-পুস্তকে নামাজের নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লেখা আছে। আবার প্রতি রাকাআতে কোন সুরা কতবারমিলাতে হবে ইত্যাদি নিয়ম কানুনের নির্দেশনা দেয়া আছে। হাদিসে যার কোনো ভিত্তি নেই। এগুলো মানুষের মনগড়া পন্থা। এ সকল ভিত্তিহীন আমল থেকে হিফাজত থাকা ঈমানের অপরিহার্য দাবি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ ফজিলতপূর্ণ রাতে নফল নামাজ, তাওবা-ইস্তিগফার, জিকির-আজকারসহ আল্লাহ তাআলার সুন্দর নামের তাসবিহ পড়ার তাওফিক দান করুন এবং পরদিন রোজা রাখার তাওফিক দিন। আমিন।