

গ্রেফতারকৃত বোমা হামলার চেষ্টার পরিকল্পনাকারী লালন।
ঈশ্বরদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার চেষ্টার পরিকল্পনাকারী অন্য আসামী লালন (৪৩) নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি ব্রিজের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পাবনা সদর থানার নিকরহাটা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
থানা সূত্র মতে, সাহাপুরের চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড় কাঁচা হাটবাজারে ইজারা আদায়কে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে সুলতান মাহমুদ সন্টুর (৪৭) দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
এতে সন্টু অসন্তোষ হয়ে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঈশ্বরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা পুলিশের সরকারি গাড়িতে বোমা হামলার পরিকল্পনা করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে সন্টুকে গ্রেফতার করে। এই সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি তাজা ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়।
গত ৫ নভেম্বর সন্টুকে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়। এই মামলায় সন্টুর সঙ্গে অপর পরিকল্পনাকারী পলাতক লালনকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) অসিম কুমার বসাক জানান, গ্রেফতারকৃত লালন এসিল্যান্ড ও থানা পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার চেষ্টার পরিকল্পনা মামলার পলাতক আসামি।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার লালনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, চুরি, ছিনতাই, মারামারি ও মাদকসহ ৮ থেকে ১০টি মামলা রয়েছে। তাকে সোমবার দুপুরে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।