

জব্দকৃত পেট্রোল বোমা ও ককটেল এবং আটক সুলতান মাহমুদ সন্টু্।
ঈশ্বরদীর কাঁচা হাটবাজারে ইজারা আদায়কে কেন্দ্র করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল যুবলীগ নেতার। হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মজুদ করা হয় গোলাবারুদ। এর আগেই গোপন সূত্রে এ পরিকল্পনার খবর পেয়ে এ পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে একজনেক গ্রেফতার করা হয় এর পর হামলার পরিকল্পনার কথা জানা যায়।
অভিযানে চারটি ককটেল ও দুটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হলেন- উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড় এলাকার মৃত জফির উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ সন্টু (৪৫)। তিনি সাহাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, সাহাপুর চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড় কাঁচা বাজারের ইজারাদারি নিয়ে ওই এলাকার কামাল হোসেনের সঙ্গে সন্টুর বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সন্টু ও কামাল গংদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে সন্টু বাদী হয়ে পাবনা আদালতে কামাল গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ মহলের ওপর দায়িত্ব পড়ে। তদন্তে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কালক্ষেপন করছেন বলে অভিযোগ করে সন্টু পাবনা জেলার একটি সংবাদপত্রে সরকারি এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছিলেন।
থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অসিত কুমার বসাক জানান, সন্টুকে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার রাতে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া থেকে আটক করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, গ্রেপ্তারকৃত সন্টু পুলিশের ওপর বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তার দেওয়া তথ্য মতে ওই দিনই নিজের বাড়ির ফটকের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় ৪টি তাজা ককটেল ও ২টি পেট্রোল বোমা।
তিনি আরও বলেন, সন্টুর বিরুদ্ধে একটি হত্যা, প্রতারণা ও মারামারিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। বিস্ফোরণ আইনে নতুন মামলা নথিভুক্ত করে রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।