

জাকারিয়া পিন্টু।
ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির অনুপস্থিতিতে একটি অস্ত্র মামলায় এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাকারিয়া ওরফে পিন্টু ঈশ্বরদীর কাঁচারীপাড়া পশ্চিম টেংরী এলাকার মৃত আ. সামাদের ছেলে।
আসামি পলাতক থাকায় সাজা কার্যকর করার জন্য পুনরায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানায়, ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন সংবাদ আসে ভেড়ামারা উপজেলার শাপশা চত্বর সংলগ্ন ইমন হার্ডওয়ার এন্ড পেইন্ট সাপ্লাই দোকানের সামনে অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ এক ব্যক্তি অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২১ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কুষ্টিয়া ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা শাপলা চত্বর সংলগ্ন ইমন হার্ডওয়ার দোকানের সামনে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জাকারিয়া ওরফে পিন্টু পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় র্যাব সদস্যরা দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থলেই র্যাব সদস্যরা তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের পেছনে কোমরে রাখা অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি এলজি (লোহার বাটসহ লম্বা-১৪ ইঞ্চি) ও প্যান্টের ডান পকেটে রাখা দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে কুষ্টিয়ার র্যাব-১২ ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা মামলা দায়ের করে জব্দকৃত মালামাল ও আসামিকে থানায় সোপর্দ করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন পুলিশ।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়েরকৃত মামলাটি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পূর্বক দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলার রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন পাবনার একটি আদালত।
আলোচিত ওই মামলায় রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ জনের একজন হচ্ছেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আসাদুজ্জামান খান।