



শেখ মেহেদী হাসান: অভিনব কৌশলে দুধের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চুরি করতে ঘরে ঢুকে ব্যর্থ হয়েছে চোর। তবে ওষুধ মেশানো দুধ পান করে অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারার ঈদগাহ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ঈশ্বরদী ধান চাউল মিলস মালিক গ্রুপের সভাপতি ফজলুর রহমান মালিথা ও তার স্ত্রী পারছিনা বেগম অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ফজলুর রহমানের ছোট ভাইয়ের মেয়ে প্রাপ্তি জানান, বুধবার রাতে জানালার পাশে গ্যাসের চুলায় তার বড় মা (বড় চাচী) পারছিনা বেগম দুধ গরম করছিলেন। কোনো এক সময় পরিকল্পিতভাবে চোরের দল সেই দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। সেহরির সময় সেই দুধ দিয়ে তারা ভাত খান। এরপরই বড় আব্বা ঘুমে অচেতন হয়ে যান। বড় মা দুধ কম খাওয়ায় কিছুক্ষণ পরে অচেতন হয়ে পড়েন। এর মধ্যে দু’জন চোর ঘরে প্রবেশ করে মালামাল চুরি করার চেষ্টা করে। কিন্তু বড়মার চিৎকারে চোররা গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন অচেতন অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে তারা গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
ঈশ্বরদী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রনি আক্তার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি।