

প্রতীকী ছবি
ঈশ্বরদীর বাঘইল গ্রামের গৃহবধূ কণ্ঠশিল্পী সীমা খাতুন হত্যা মামলার ২ আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গোপন সংবাদ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার একদল পুলিশ রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত শ্বশুর আব্দুর রহমান এবং শ্বাশুড়ি লতা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী থানায় নিয়ে আসে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাতে মৃত স্ত্রী সীমা আক্তার (২৬) কে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী আবু রায়হান রাজেশ। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়। ঘটনার পর হতে রাজেশ, তার বাবা ও মা পলাতক ছিল। এ ঘটনায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মা বিলকিস খাতুন বাদী হয়ে জামাই রাজেশ, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ ৫ জনকে আসামি করে পাবনা আদালতে যৌতুকের কারণে সীমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। এই মামলায় পলাতক আসামি শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসিত কুমার বসাক জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা তিনি পুলিশের একটি দল নিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।
তিনি আরো জানান, নিহত গৃহবধূ সীমা ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নূর আলীর মেয়ে। আর সীমার স্বামী রাজেশ একটি ওষুধ কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিল। তাদের ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
সীমার ভাই বিপুল জানায়, যৌতুকের কারণে প্রায়ই সীমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী রাজেশ। পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর সীমাকে হাসপাতালে রেখে রাজেশ পালিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। তখন স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় রাজেশ। নিহত সীমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কারণেই তার গলায় দাগ ছিল বলে তিনি দাবি করেন।