

ঈশ্বরদীর ম্যাপ।
ঈশ্বরদীতে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে শ্লীলতাহানী করেছে বাবুল হোসেন ওরফে বাবুলা (৪২) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার পর থেকেই বাবুলা পলাতক রয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভার শহরের শেরশাহ্ রোডস্থ এএসপি সার্কেল অফিস সংলগ্ন প্রামানিক পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হলে মাত্র ১৭ হাজার টাকায় লোমহর্ষক ঘটনাটি সমঝোতা করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সোমবার বিকেলে ওই এলাকার জিন্নাহ্ প্রামানিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া শিশু মেয়ে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। সেই সময় একই এলাকার দুদু প্রামানিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাবুলা ওই শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ের শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। সে সময় শিশুটির আত্মচিৎকারে বাবুল তাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। শিশুটির মা ঘটনা শুনেই বাবুলের বাড়িতে যায় কেন তিনি ন্যাক্কার জনক এই কাজটি করেছেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় বাবুল। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় এলাকার লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। রাতেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রচন্ড চাপ আর মধ্যস্থ্যতায় মাত্র ১৭ হাজার টাকায় লোমহর্ষক এই ঘটনাটির সমঝোতা করা হয়।
শিশু মেয়েটির বাবা মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) অভিযোগ করেন, তিনি ভাড়াটিয়া হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে মিমাংসা করতে বাধ্য হয়েছেন।
অভিযুক্ত বাবুলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী বেলি বেগম ১৭ হাজার টাকায় মিমাংসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির জানান, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। লিখিত অভিযোগ পেলেই তিনি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।