

ছবি: ঈশ্বরদীনিউজটুয়েন্টিফোর.নেট গ্রাফিক্স টিম
ঈশ্বরদী উপজেলায় জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল ঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে করোনা-সংক্রমণের ঝুঁকি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্ল্রেক্স সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত যেকোনো রোগী স্বাভাবিকভাবে নমুনা দিতে পারছেন। তবে ওই নমুনার ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৮ থেকে ১২ দিন। এতে কেউ কেউ ফলাফল না পেয়ে আবার নমুনা দিচ্ছেন।
আরও জানা যায়, সোমবার (০৮ জুন) পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে ৬৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে ১২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩৫৮ জনের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। এ দিকে ঈশ্বরদীতে এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ জন।
উপজেলার জাসদ নেতা রশিদুল আলম বাবু জানান, গেল ২৮ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঈশ্বরদীর জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বাচ্চু মারা যান। পরদিন রহিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ওই জাসদ নেতার স্বজনদের নমুনার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এফ এ আসমা খান জানান, আমরা রোগীর নমুনা স্বাভাবিক পর্যায়ে সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠিয়েছি। কিন্তু নমুনার ফলাফল ঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে রোগী ও রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকজন আতঙ্ক ও ঝুঁকি নিয়ে সময় পার করছেন। তা ছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস মুঠোফোনে জানান, হাসপাতালের দুইটি ল্যাবে রাজশাহীসহ চাঁপাই নবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে জটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে কয়েক দিন দেরি হচ্ছে।