

ঈশ্বরদী মার্কেটের সকালের চিত্র। ২০ এপ্রিল, বুধবার। ছবি: সংগৃহীত
ঈশ্বরদী বাজারের মার্কেট। সাটার একটি বন্ধ হলেও অপরটি অর্ধেক খোলা। ভিতরে আছেন দোকানি। দোকানের চেয়ারে কয়েকজন ক্রেতারা গাদাগাদি করে বসে রয়েছেন। কিনছেন ঈদের রঙিন পোশাক। আবার অনেকেই গল্প করছেন। সামনেই জটলা করে করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলছেন যুবকরা।
দোকানি তড়িঘড়ি করে পণ্যসামগ্রী দিচ্ছেন ক্রেতাদের। আর আতঙ্কিত চেহারায় বারবার এদিক সেদিক তাকাচ্ছেন।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ পুলিশ চিৎকারে দৌড়ে পালিয়েছেন সবাই। সাটার নামিয়ে দোকানদারও আত্মগোপন করে। নিস্তব্ধ পরিবেশ ও দোকান বন্ধ দেখে চলে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপরই দোকান খুলতে লাগলেন ব্যবসায়ীরা। পূর্বের ন্যায় মানুষগুলোও ভীড় করছেন সেখানে। চিত্রটি ঈশ্বরদী পৌরসভার মার্কেট গুলোর।
গত ১০ মে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত আকারে সারা দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান খোলার সুযোগ দিয়েছে সরকার। সেই মোতাবেক সকল মার্কেট, শপিং মল ও দোকানপাটে বিক্রয় শুরু হয়। কিন্তু উপজেলায় গত কয়দিনে দেখা গেছে মার্কেট ও দোকানপাটে কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ রাখা হচ্ছে না। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব একেবারেই বজায় রাখা হচ্ছে না। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আশঙ্কায় মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেন পাবনা জেলা প্রশাসন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন দোকানদার বলেন, বিপজ্জনক জেনেও দোকান খোলা রাখছেন। তবে ক্রেতা ও নিজের নিরাপত্তায় দোকানে রেখেছেন জীবাণুনাশক স্প্রে। আর শাস্তির ভয়ে নজরদারি রাখছেন প্রশাসনিক টহলে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির বলেন, দোকান বন্ধ ও গণজমায়েত রোধে কাজ করছে পুলিশ। শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সকলের সচেতনতায় ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করা অনেকাংশে সম্ভব বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল বলেন, করোনার বিধি-নিষেধ অমান্য করে যেসব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।