

প্রতীকী ছবি
ঈশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সোহেল (৩২)। সে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটা পাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি ধান কাটা ও শুকানোর কাজ করার সময় দায়িত্বরত উপসহকারী প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পৌর যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক রুহুল আমিন কুদ্দুস (৪৮) । চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় প্রশিক্ষককে মারধর করেন তিনি।
কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বকুলের মোড় কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ধান কাটা ও শুকানোর কাজ শুরু করার সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রশিক্ষক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় ওই দিন সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রাতে সেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিজানুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ঘটনার সময় রুহুল আমিন কুদ্দুস ও জীবন মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন এসে আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। শিডিউল মোতাবেক কাজ হচ্ছে, চাঁদা দেওয়ার কোনো সুযোগ বা সামর্থ্য নেই বলে জানালে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করে মারপিট শুরু করে। আমি আত্মরক্ষা করার সুযোগ পাইনি। আমাকে বাঁচাতে এসে ধান কাটা ও বহনের শ্রমিকরাও আহত হয়েছে।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, সোহেলকে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।