

ত্রাণ না পাওয়ায় উপার্জনহীন এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। সাহাপুর ইউনিয়ন, ঈশ্বরদী। ১৭ এপ্রিল, শুক্রবার। ছবি: ঈশ্বরদীনিউজটুয়েন্টিফোর.নেট
ঈশ্বরদীতে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে সাহাপুর ইউনিয়নের মসজিদ মোড় এলাকায় কয়েকটি গ্রামের কর্মহীন মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশ মেনে তারা বাড়িতে আছেন এজন্য প্রায় ১৫ দিন ধরে তারা কর্মহীন। সরকার থেকে বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করার কথা বলা হলেও তারা আজ পর্যন্ত কোনও ত্রাণ পায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন, যুদ্ধাপরাধী মামলার রাষ্ট্র পক্ষের স্বাক্ষী আব্দুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা আকমাল হোসেন প্রমুখ।
ত্রাণ দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সরকারিভাবে যে ত্রাণ পাচ্ছি পর্যায়ক্রমে সবার মধ্যে বিতরণ করছি। বিক্ষোভকারীরা সবাই একসঙ্গে ত্রাণ চায়, যা সম্ভব নয়। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেওয়া হয়েছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণসাহায্য দেওয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদে এখন পর্যন্ত ২০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু মানুষের ইন্ধনে তারা বিক্ষোভ করছে। বরাদ্দ কম থাকায় এই মুহূর্তে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হান জানান, চাহিদার তুলনায় ত্রাণের যোগান স্বল্প। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাদের উপর গুরুত্ব দিয়ে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য এক সাথে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ধারাবাহিকভাবে দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর ও কর্মহীন মানুষদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কেউ বাদ পড়বেন না। প্রত্যেকটি অসহায় পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।