

ঈশ্বরদী বাজারে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার ভিন্ন আমেজে শবেবরাত পালন করছে ঈশ্বরদীবাসীর। অন্যান্য বারের মতো নেই উৎসবমুখর আয়োজন। তবে ঘরে ঘরে সংক্ষিপ্ত আকারে হালুয়া, রুটি, গরুর মাংস ও মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার প্রস্তুতে গৃহিনীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে শহরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুদি ও মাংসের দোকানে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়। সেমাই, চিনি, সুজি ও মশলা জাতীয় দ্রব্যাদির চাহিদাই শীর্ষে রয়েছে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ দূরত্বের যে নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে—তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
শৈলপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহিদুর রহমান বলেন, কি করবো, ঘরে বাচ্চা রয়েছে। তারা তো আর বুঝবে না বর্তমান পরিস্থিতি। অন্যরা আয়োজন করছে, তাই আমার গিন্নীও আমাকে বাজারে আসতে বাধ্য করেছে।
শবেবরাত উপলক্ষে অনেকে নফল রোজা রাখেন। তবে মসজিদে যাওয়ার বিধি—নিষেধের কারণে এবার মসজিদকেন্দ্রিক উৎসবে ভাটা পড়েছে।
বছরের এই দিনেই বাঙালি মুসলমানদের ঘরে ঘরে রুটি, রঙিন পুঁতি দেওয়া রুটি, হালুয়া, সেমাই, গরু কিংবা মুরগির মাংস রান্না করা হয়। কোনো কোনো বাসা-বাড়িতে পোলাও-বিরিয়ানি রান্নার ধুম পড়ে।
এবার করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকার মানুষেরা ঘরে বসেই এবাদত করবেন। কোনো অবস্থাতেই স্বজনদের কবর জিয়ারত এবং দল বেঁধে মসজিদ কিংবা মাজারে যাওয়ার সুযোগ মিলবে না। মহিলারাও নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই আল্লাহর দরবারে ইবাদত-বন্দেগি করবেন।