

সলিমপুর ইউনিয়নের হাটে মানুষের ভিড়। ছবি : শামিম উদ্দীনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের তৎপরতায় কর্মচাঞ্চল্য উপজেলার সার্বিক জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। কিন্তু ঈশ্বরদী উপজেলার শহর জনপথ আর হাটবাজারগুলোতে এখনও লোকজনের ভিড় লেগেই আছে। তবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কর্মক্ষমসহ সাধারণ মানুষ এখন পরিবার পরিজন নিয়ে গৃহবন্দী থাকলেও কাজকর্ম না থাকায় একেবারে গরিব লোকজন পড়েছে বিপাকে। তাদের অনেকে প্রতিদিনের খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষেরা নিয়ম না মেনে জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছে ঘর থেকে।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার শহরের মানুষজন অনেকটা সচেতন থাকলেও গ্রামের মানুষদের অনেকেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে ধারনা নেই। ফলে শহরের তুলনায় সাতটি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপথ আর হাটবাজারগুলোতে লোকজনের ভিড় লেগেই রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল বলেন, উৎসবভিত্তিক ছুটির মতো নানা শ্রেণী পেশার মানুষ গ্রামের বাড়িতে এসে হাটবাজার ও চা-স্টলে আড্ডা দিচ্ছে। তারা করোনা রোগ নিয়ে কোন আমলই নিচ্ছে না। এ বিষয়ে সচেতন করতে প্রশাসনের আরও তৎপর হতে হবে।
দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক তফিজুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে সর্দি-জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। গ্রামের অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনো প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাঘাটে ও ঈশ্বরদী বাজারে প্রতিদিন লোকজনরা আড্ডা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আইনজীবী বলেন, ঈশ্বরদী বাজারের রড-সিমেন্ট, হার্ডওয়্যার-প্লাস্টিক সামগ্রীর বড় বড় দোকান খোলা রাখার সুযোগে ছুটিতে আসা কর্মক্ষম মানুষ গ্রামে এসে তাদের বাসা-বাড়ির নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করাচ্ছেন। এতে করে সামাজিক দূরত্ব পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে।
ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু জনপ্রতিনিধিদের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, জাতীয় এই দুর্যোগকালে নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা মাঠে থাকবেন এটাইতো প্রত্যাশা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসন কত বুঝাবে। তাদের সচেতন হতে হবে। এক দিকে দোকারপাট বন্ধ করে আসলে এটু পরেই আবার খুলে বসে। ঈশ্বরদী বাজার সামাল দিতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।