

ঈশ্বরদী বাজারের এক চাল দোকান।
ঈশ্বরদীর জয়নগর উত্তরবঙ্গের সর্ব বৃহৎ মোটা চালের আড়ৎ থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাসের আতঙ্কে একসঙ্গে চাল কিনে রাখছে মানুষ। যাঁর বাসায় মাসে ২০ কেজি চাল লাগে, দেখা যাচ্ছে তিনি এখন কিনছেন ৫০ কেজির এক বস্তা। বাজারগুলোয় মানুষের ব্যাপক ভিড়।
মূলত, ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই পরিস্থিতি। ওই দিন দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে। তবে বাজারে ভিড়টা বেশি দেখা গেছে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে। বুধবার (১৮ মার্চ) একই অবস্থা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান ঈশ্বরদী বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণ-৫ জাতের চাল ৩৫ টাকা, জিরা ৪৮ টাকা এবং কাটারিভোগ ৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু অসাধু বিক্রেতারা হঠাৎ করে কৃত্তিম দাম বৃদ্ধি করে বাড়তি মুনাফা লাভ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঈশ্বরদী চাল বাজারের মাঝারি চাল ব্যবসায়ী তাপস কুমার জানান, হঠাৎ করেই চালের দাম কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে। মোকামগুলো থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে ফলে খুচরা বাজারে বেশি দামেই বিক্রি করা ছাড়া উপায় থাকছে না।
খুচরা বাজারে চাল কিনতে আসা মান্নান বিশ্বাস জানান, কথা নাই বার্তা না হঠাৎ করেই চালের দাম বেড়ে গেছে। ফলে সব সময় চালের বাজারে একরকম সমস্যা লেগেই থাকে। চালের এমন দামে সবচেয়ে বেশি হিমশিম খেতে হয় নিন্ম আয়ের মানুষদের।
রাইস মিল মালিক শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, চাল বাজারের সিন্ডিকেট সব সময় কাজ করে। ফলে চালের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যায়। এতে করে ছোট ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না।
উপজেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবার রহমান মোল্লা বলেন, এখন মৌসুমের শেষ সময়। কিছুদিন পরে নতুন চাল উঠবে। হঠাৎ বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, কয়েক দিনে প্রতি কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।
উপজেলা চাল ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আলহাজ খায়রুল ইসলাম বলছেন, এখন যাঁরা বিপুল পরিমাণে চাল কিনে রাখছেন, তাঁদের কয়েক দিন পরই আফসোস করতে হতে পারে। পণ্যের ঘাটতি নেই। তাই কয়েক দিন পর চাপ কমে গেলে দাম কমে যেতে পারে।