

শহরের রেলগেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। দিনটি উপলক্ষে শনিবার সকালে শহরের ষ্টেশন রোড উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস, সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা চান্না ও মোঃ রশীদুল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আবুল কালাম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা, মহিলা আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন পিয়া, যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রনি, সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস, প্রেসক্লাব সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সহসাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম বিশ্বাস, শেখ মহসীন, সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পাদক আতাউর রহমান বাবলু প্রমুখ।
সকাল সাড়ে নয়টায় শহরের রেলগেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এদিকে দশটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অপরাজিতা দিলারা।
৭ মার্চ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) জনসভায় লাখ লাখ জনতার উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেদিন দৃপ্ত কণ্ঠে তিনি উচ্চারণে করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।