ঈশ্বরদী উপজেলায় শয়নকক্ষ থেকে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া কলেজছাত্রীর নাম ফারজানা আক্তার (১৯)। তিনি ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাবা জাহাঙ্গীর ফকির মালয়েশিয়া প্রবাসী।
পুলিশ ও ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাবা-মা বিয়ের দিতে চাইলে ফারজানা অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন তিনি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চাই। এ সময় বাড়ির লোকজন তাঁকে বকাবকি করেন। এরপর তিনি নিজ ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। দীর্ঘ সময় তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন জানালা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ফারজানার লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন।
নিহতের মা ময়না বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘তাঁর মেয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। এখন সে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি ছিল না, কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর বিয়ের প্রস্তাব আসছিল। সোমবার তাঁর বাবা বিদেশ থেকে তাঁকে একটু শাসন করেছে। রাতেও সে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কেন এমন হলো কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।’
সহপাঠী তিন্নি খাতুন বলেন, ‘তাঁর স্বভাব অন্য ৮-১০ টা মেয়ের মত ছিল না। সে মিষ্টভাষী পরহেজগার স্বভাবের ছিল। কলেজে গিয়ে সে আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলতো।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, লাশের গলার নিচে ফাঁসের দাগ রয়েছে। তবে শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ওসি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।