ঈশ্বরদী পৌরসভাসহ উপজেলার সর্বত্র একদিনের ব্যবধানে ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। হঠাৎ করে কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে।
হঠাৎ করে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে পৌর শহর ও উপজেলার সর্বত্র কাঁচামালের আড়ৎগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। রোববার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানগুলোতে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। যা সোমবার বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। যেসব ক্রেতা প্রতিটি বাজার বা দোকানে গিয়ে এক সপ্তাহের পেঁয়াজ কিনতো। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা এখন ১০০-২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনছেন।
সোমবার বিকালে উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা যায় বিক্রেতারা এক কেজি পেঁয়াজের দাম চাচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। অথচ একদিন পূর্বে রোববার ঈশ্বরদী বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়।
ক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজার থেকে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনি। আজ দেখি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা চাচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনেছি।
পৌর শহরের কাঁচামালের আড়ৎ মালিক আ. গনি বাহালী জানান, রোববার পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে কিনে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। সোমবার পেঁয়াজ ৯০ টাকায় কিনে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তিনি আরোও জানান, মোকাম থেকে জানানো হয়েছে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে।
কাঁচামাল বিক্রেতা মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, সোমবার পাইকারী পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি ১০০ টাকা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।