ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনে লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছে মাদক। ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে মাদকদ্রব্য তোলার পর ট্রেনের এসি কামরায়, ট্রেনের ছাদের হোসপাইপের ভেতর, ট্রেনের টয়লেটের দেয়ালের ফাঁকে বিশেষ কায়দায় মাদক লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছে।
বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিশেষ কায়দায় লুকানো ঢাকাগামী চিত্রা ট্রেনে পাওয়া গেছে ১০৫ বোতল ফেনসিডিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ৭৬৩ নং আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেলে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটের উলাপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে ‘ঘ’ স্নিগ্ধা বগি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
ট্রেনের কর্তব্যরত পরিচালক জাকারিয়া সরকার সোহাগ জানান, বিনা টিকিটে প্রায়ই কিছু যাত্রী মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে উঠে পড়ে। কোন যাত্রী কি মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠেছে তা দেখারও পর্যাপ্ত জনবল থাকে না। যার কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা মর্জিমাফিক উঠে তাদের পছন্দের স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে মাদক।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পাকশি বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ভদ্রবেশী বহু স্যুটকেসে এমন মরণঘাতি মাদক আছে বলে আগেই মনে হয়েছিল আমার। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে কর্তব্যরত জিআরপি রেলওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিলে তল্লাশী করে মালিকবিহীন দুটি ব্যাগে থাকা ফেনসিডিল উদ্ধার হয়।
পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনোয়ার হোসেন জানান, কতিপয় অসাধু রেলওয়ে কর্মচারীর সহায়তায় এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। তবে কোনো রেলওয়ে কর্মচারী জড়িত রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী জিআরপি পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও ওই ট্রেনের কর্তব্যরত ইনচার্জ (এসআই) মজিবুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল রেলপুলিশের সহায়তায় সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই থানায় এ ব্যাপারে মামলা নথিভুক্ত হবে।