

ছবি: ঈশ্বরদীনিউজটুয়েন্টিফোর.নেট গ্রাফিক্স টিম
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ভয়াল তাণ্ডবে যেন ভেঙেচুরে যাচ্ছে পুরো পৃথিবী। অদৃশ্য এই শত্রু বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে, গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। এখন পর্যন্ত নেই কোনো ওষুধ, প্রতিষেধকও নেই। শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা হন্যে হয়ে চেষ্টা করছেন একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরির। তবে এখনও সফলতার মুখ দেখেননি কেউ। তবে করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় ধাক্কায় আরও ভয়াবহতা নিয়ে আসতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। সর্বোচ্চ সচেতন না হলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু আর উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা সমানে আরও বাড়বে বলেই তাদের আশঙ্কা।
লাইভ সাইন্সের এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রহস্যে ঘেরা নোভেল করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় থাবা হবে আরও ভয়ংকর। এই ধাপে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বেশি, তার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।
দ্বিতীয় ধাক্কার পর আরও করোনার একটি ধাক্কার আশংকা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর বায়োলজিকস ইভালুশান অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক পিটার মার্কস।
তিনি বলছেন, ‘এটি এমন এক রহস্য যা আমরা এখনো উন্মোচন করতে পারিনি। এই মারণ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধকও তৈরি হয়নি। যে কারণে আমরা দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় দফা করোনার ভয়ংকর আঘাতের আশঙ্কা করছি।’
উপসর্গহীন আক্রান্ত বৃদ্ধির বিষয়ে ইউএসএ টুডের এক প্রতিবেদন বলেছে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনার যে কথা বলা হচ্ছে, তার সঠিক তথ্য কারও জানা নেই। সার্স ও মার্স আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার যে রেকর্ড রয়েছে তা করোনার বেলায় খাটছে না।
এ দিকে, লাইভ সায়েন্স বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়েছে। কারণ প্রায় সব দেশেই প্রয়োজনের তুলনায় করোনা টেস্ট কম হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে এখনো বিস্তৃতভাবে করোনা পরীক্ষাই শুরু হয়নি। যে কারণে কত শতাংশ মার্কিনি করোনায় আক্রান্ত সেটিও বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা থেকে সুস্থ হতে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির কয়েক মাস লেগে যাচ্ছে। সুস্থ হলেও পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত হচ্ছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। আর এটিই আরও আশংকা বাড়াচ্ছে কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি আরও বহু মানুষে সংক্রমিত করতে পারে।
এ কারণে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাটা অগোচরেই থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন হাভার্ড চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিশেষজ্ঞ মার্ক লিপসিথ।
বিশেষজ্ঞরা এজন্য সর্বোচ্চ সচেতনতাকে গুরুত্ব দিয়ে সতর্ক করছেন, করোনা ভাইরাস দ্বিতীয়বার আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।