

কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছবি : সম্পাদিত
করোনা ভাইরাসের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে এ নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর ফলে ৩০ জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা যদি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা যদি এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করে, তাহলে তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। আমদানি রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের কারণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ফলে অনেক ঋণগ্রহীতাই সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এতে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এবং দেশে সামগ্রিক কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে- এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ বছরের ১ জানুয়ারিতে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত ওই মানেই রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।’
এ নির্দেশনা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৪৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা হয়েছে এবং অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।